মোঃ জাকিউর রহমান, ঢাকা প্রতিনিধি: স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম নেতা শহীদ শহীদুল ইসলাম চুন্নুর ৩২তম মৃত্যুবার্ষিকীতে তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। একই সঙ্গে তার স্মরণে একটি সভারও আয়োজন করা হয়েছে।
শুক্রবার সকাল আটটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে শহীদ শহীদুল ইসলাম চুন্নু স্মৃতি স্মারকে ছাত্রলীগের সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয়ের নেতৃত্বে সংগঠনের নেতাকর্মীরা শ্রদ্ধা জানান।
এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস, সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ছাত্রলীগের সভাপতি কামাল উদ্দিন রানা, সাধারণ সম্পাদক রুবেল হোসেন, বিভিন্ন হলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ বিভিন্ন ইউনিটের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
স্মৃতি স্মারকে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে একটি সংক্ষিপ্ত স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়। শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ছাত্রলীগের সভাপতি কামাল উদ্দিন রানার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রুবেল হোসেনের সঞ্চলনায় স্মরণসভায় বক্তব্য দেন জহুরুল হক হলের সাবেক ভিপি খলিলুর রহমান মোহন, সাবেক জিএস লুৎফর রহমান সেন্টু, শহীদ চুন্নুর সহযোদ্ধা ও জহুরুল হক হলের সাবেক জিএস মোশাররফ হোসেন রাজা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান আনসারী, শহীদ চুন্নুর ছোট ভাই আনিসুর রহমান, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি মোল্লা মো. আবু কাওছার, জহুরুল হক হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়, ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস, সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনসহ সাবেক ও বর্তমান ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ।
বক্তারা শহীদ চুন্নুর সাহসিকতা, দেশ ও সংগঠনের জন্য আত্মত্যাগের মহান দৃষ্টান্ত স্থাপনসহ তাঁর হত্যার বিচার কামনা ও তাঁর স্মৃতিকে সংরক্ষণ করতে বই লেখার আহ্বান জানান সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষককে।
ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, চুন্নু ভাই যখন প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করতে যাচ্ছিলেন তখন তাকে প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়ে হত্যা করা হয়। বর্তমান ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের কাছে তিনি অমর হয়ে আছেন।
ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস বলেন, শহীদ চুন্নু ছিলেস এক অকুতোভয় বীরের নাম। শহীদ চুন্নু তৎকালীন সময়ে নেত্রীর কাজ করে যাচ্ছিলেন, ঠিক সেসময় বিপরীত শক্তি তাকে টার্গেট করে হত্যা করে। এক চুন্নুকে মারলেও কখনোই দেশকে জামাত শিবিরের অভয়াশ্রম করা যাবে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, শহীদ শহীদুল ইসলাম চুন্নু ছিলেন একজন নির্ভীক নেতা। বর্তমানেও শহীদ চুন্নু ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মাঝে একজন আদর্শ হয়ে আছেন।
জহুরুল হক হলের সভাপতি কামাল উদ্দিন রানা বলেন, শহীদ চুন্নু আমাদের অনুপ্রেরণা দেয়। তার চেতনাকে ধারণ করে এগিয়ে যাওয়ারও প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।
শহীদ চুন্নুর সহযোদ্ধা ও জহুরুল হক হলের সাবেক জিএস মোশাররফ হোসেন রাজা স্মৃতিচারণ করে চুন্নু হত্যার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন। এছাড়াও চুন্নুর সাহসিকতা ও অবদানের বিষয়ে বই লিখে তার স্মৃতিকে সংরক্ষণ করতে বলেন তিনি।
১৯৯০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে শহীদুল ইসলাম চুন্নু শহীদ হন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ছাত্র সংসদের সাবেক সহ-সভাপতি (ভিপি) ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।